ড্রাগন ফলের উপকারিতা

 ড্রাগন ফলের উপকারিতা 

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে ড্রাগন ফলের উপকারিতা নিয়ে।আমরা অনেকে জানি না ড্রাগন ফলের উপকারিতা অপকারিতা কি।যারা ড্রাগন ফলের উপকারিতা জানতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। 

ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা 

অনেকে ড্রাগন ফল খেতে চান না। আজকে যদি তারা ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আর্টিকেলটি পরে তাহলে আমার বিশ্বাস তারা ড্রাগন ফল খাবে। 

ড্রাগন ফল এর উপকারিতা

ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ফলটিতে ক্যালরি কম থাকার জন্য ওজন বাড়ানোর জন্য কোন আশঙ্কা নেই। এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে।আরো রয়েছে ফায়বার ও আয়রন যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত অনেক বেশি উপকারী। 

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

১) ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকাই রক্তে চর্বি কমায়। ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলটি আমাদের হৃদপিন্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। ড্রাগন ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেয়। ড্রাগন ফল সত্যি আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী একটি ফল  

২) ড্রাগন ফলে রয়েছে লাইকোপেন।এই ফলে লাইকোপেন থাকায় ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করেন। 

৩) ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যারোটিন।আর এই উপাদানটি আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 

৪) ড্রাগন ফলের মধ্যে থাকা প্রোটিন আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সাহায্য করেন।

৫) ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম। আর এই ক্যালসিয়াম নামক উপাদানটি আমাদের হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখেন। বিশেষভাবে নারীদের জন্য এই ড্রাগন ফলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

৬) ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি উপাদানটি আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।শরীরের ত্বক রাখে উজ্জ্বল। বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।এই উপাদানটি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এই ফলটা আসলে পুষ্টিগুণে ভরপুর। 

৭) এই ফলে রয়েছে বেশি পরিমাণ আয়রন।এই ফলে আয়রন থাকায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, যা কিশোরী অন্তঃসত্ত্ব, প্রসূতিদের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। 

৮) এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফায়বার ও জলীয় অংশ থাকায় ওজন কমায়।এই ফলে রয়েছে নানা রকমের উপাদান। এই উপাদান গুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

৯) ড্রাগন ফল আমাদের মুখে থাকা ব্রণকে দূর করতে অনেক বেশি সহায়তা করেন। 

১০) ড্রাগন ফল আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করেন। 

১১) ড্রাগন ফল আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে থাকেন। 

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

প্রতিটি জিনিসের একটি লিমিট থাকে। লিমিট এর বাহিরে কোন কিছু খাওয়া ঠিক না।ড্রাগন ফলের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অল্প কিছু ড্রাগন ফলের অপকারিতা রয়েছে। 

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

১) অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে যদি আপনি ড্রাগন ফল খান তাহলে এলার্জি হতে পারে। 

২) বেশি করে ড্রাগন ফল খেলে আপনার হতে পারে ডায়রিয়া।

৩) ড্রাগন ফলের বীজ  চিবিয়ে না খেলে কখনো কখনো হকম হয় না।আবার যদি আপনি বেশি পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে হজম হয় না।বিশেষ করে আপনি যখন লাল ড্রাগন ফল খাবেন তখন প্রস্রাবের রং লাল হতে পারে। 

আর এগুলো হচ্ছে ড্রাগন ফলের অপকারিতা। আশা করছি ড্রাগন ফলের অপকারিতা গুলো জানতে পেরেছেন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকে জানিনা। ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম কিভাবে। কিভাবে আপনি ড্রাগন ফল খাবেন তা নিয়ে ছোট্ট একটি পোষ্ট নিচে দেওয়া হল আপনাদের জন্য। 

ড্রাগন ফল কি করে খেতে হয়?

জুস তৈরি করে খেতে পারেন ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলের জুস তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে খোসা ফেলে কেটে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে জুস করে নিন।আবার চাইলে আপনি সালাদ করে খেতে পারেন।সাধারণ ফলের মত কেটেও খেতে পারেন।তবে এই ফলটি সবজি বানিয়ে  না খাওয়াটাই ভালো। কারণ,ফলে তাপ পড়লে,তাপের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে এই ফলের সব পুষ্টিগুণ।

আমাদের শেষ কথা। এই ছিল আমাদের আজকের ড্রাগন ফলের উপকারিতা নিয়ে আর্টিকেল। আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা সবাই ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং আরো জানতে পেরেছেন ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা। 

বিশেষ করে প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং খারাপ দিক থাকে। তবে ড্রাগন ফলের এমন কোন খারাপ দিক নাই। তবে আমি এবার বাইরে যে কোন জিনিস খাওয়া হচ্ছে বিপদজনক। তাই সবাই সবকিছু পরিমাণ মতো খাবেন। এটা আপনার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url