প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা / প্রোটিন জাতীয় খাবার

 প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা / প্রোটিন জাতীয় খাবার

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আজকের আয়োজনটি হচ্ছে প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা নিয়ে।আজকের আর্টিকেলের সঠিক তথ্যটি পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। 

প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা
প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা 

আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছেন প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো কি কি জানিনা। যারা প্রোটিন যুক্ত খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত উপকারের হবে। 

আমাদের মাঝে এমন অনেকে রয়েছেন প্রোটিনের উৎসব বলতে প্রীণীজ প্রোটিনই ধরে নিই।তবে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মাছ,ডিম ও মাংস প্রোটিনের ভরপুর উৎসব রয়েছে। আরো একাধিক উৎসব রয়েছে যেখানে প্রোটিনের ভরপুর রয়েছে।

যারা মাছ-মাংস খান না তারা কোন কোন খাবারে প্রোটিন পাবে তার একটা তালিকা নিচে প্রকাশ করা হলো। যে খাবারগুলোতে আপনি ভরপুর প্রোটিন পাবেন পাবেন। 

প্রোটিন জাতীয় খাবার কি কি

১) ডাল।

আপনি যদি প্রোটিন পেতে চান তাহলে আপনি খেতে পারেন ডাল। যেকোনো ধরনের ডালে রয়েছে প্রোটিন। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আপনি ডাল রাখতে পারেন। চিকিৎসা করা বলেছেন প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ডাল খেলে ৭-৮ গ্রাম প্রোটিন মিলবে। আপনি যদি প্রোটিন পেতে চান তাহলে আপনি খেতে পারেন ডাল।

২) কুইনোয়া।

 কুইনোয়া নামক এই খাবারে রয়েছে প্রোটিনের ভালো উৎসব। এটি থেকে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে।যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। 

৩) পনির।

পনির তৈরি করা হয় দুধ থেকে। এই পনিরে রয়েছে প্রোটিনের সেরা উৎসব। এই পনির মাছ-মাংসের বিকল্প হিসেবে কাজ করে থাকেন। ১০০ গ্রাম পনির থেকে পাওয়া যায় ১৬ গ্রাম করে প্রোটিন।বয়স্ক শিশুদের জন্য এই পনির অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মূল কথাটি হচ্ছে প্রোটিনের সেরা উৎসব হচ্ছে এই পনির।

৪) দই।

দই সারা বছর পাওয়া যায়। এই দইয়ে রয়েছে প্রোটিন এবং আরো আছেন ক্যালসিয়াম। আরে ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত করে।

৫) কুমড়ার বীজ।

কুমড়ার বীজ থেকে পাওয়া যায় প্রোটিন। এই বীজ শুকিয়ে খাওয়া যায়। বিভিন্ন রকমের রান্নায় তরকারিতে এই বীজ ব্যবহার করা হয়। প্রোটিন পাওয়ার জন্য খুব পরিচিত একটি সবজির বীজ। যা থেকে আপনি অতি সহজে প্রোটিন পেয়ে যাবেন। 

৬) সয়াবিন।

মাংসের থেকেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় এই সয়াবিন থেকে।হাই প্রোটিন ডায়েটে প্রোটিনের যোগান মেটাতে ব্যবহার করা হয় সয়াবিনের দুধ।প্রোটিনের সেরা উৎসব হচ্ছে সয়াবিন। 

৭) কালো বিনস।

এই জালো বিনসে প্রোটিনের ভরপুর উৎসব রয়েছে। উদ্ভিদজাত সমৃদ্ধ প্রোটিনের সেরা উৎসব হচ্ছে কালো রং এর বিনস।এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। 

৮) কিনোয়া।

এই কিনোয়াতে রয়েছে প্রোটিনের ভালো উৎসব। শুধু প্রোটিন নয় এতে রয়েছে ফাইবারের সেরা উৎসব। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আপনি খেতে পারেন কিনোয়া খাবার।

বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলোতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। সে খাবারগুলোর ছোট একটি তালিকা নিচে প্রকাশ করা হলো। 

কোন খাদ্যে প্রোটিন বেশি

কোন কোন খাবারে প্রোটিনের ভরপুর রয়েছে এটা আমাদের অনেকের অজানা। 

উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার তালিকা

বেশ কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার রয়েছে সেই খাবারগুলো হচ্ছে, মাছ,মুরগি, হাঁস, ডিম, গরুর মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি এগুলোতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে। 

প্রাণিজ উৎস ছাড়াও অন্যান্য খাবারও উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যেও পরিপূর্ণ প্রোটিন পাওয়া যায়। আর আপনি পরিপূর্ণ প্রোটিন পাওয়ার জন্য খেতে পারেন, তেমপে,মিসো,টফু,কিনোয়া,এডেমেম,হেম্প, সিডস,,চিয়া সিডস,স্পিরুলিনা,বাকহুইট ইত্যাদি। এসব খাবারগুলোতে আপনি পরিপূর্ণভাবে প্রোটিন পেয়ে যাবেন। 

উদ্ভিজ্জ অসম্পূর্ণ প্রোটেনের মধ্যে আছে, বাদাম,বীজ,পরিপূর্ণ শষ্যজাতীয় খাবার,ডাল,মটর,সীম ইত্যাদি। এই গুলোতে প্রোটিন রয়েছে। আপনি চাইলে এগুলো থেকে সহজে প্রোটিনের অভাব পূরণ করতে পারবেন। 

প্রোটিন জাতীয় ফল

বেশ কিছু প্রোটিন জাতীয় কল রয়েছে। যে ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের ভালো উৎসব রয়েছে। সেই ফলগুলো হচ্ছে, পেয়ারা,কমলালেবু, কলা,কিশমিশ,কাঁঠাল। এই ফলগুলোতে আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পেয়ে যাবেন। এই সবগুলো হচ্ছে প্রোটিন জাতীয় ফল। 

প্রোটিন যুক্ত সবজি

অনেক ধরনের সবজি রয়েছে সব সবজিতে তো আর প্রোটিন পাওয়া যায় না। এমন কিছু সবজি রয়েছে যে সবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।সে সবজিগুলো হচ্ছে, ব্রকলি,ফুলকপি, পালং শাক, মাশরুম, ভুট্টা, বেকড আলু,মটরশুটি, অ্যাসপারাগাস,অ্যাভোকাডো এই সবগুলো থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাবেন। এসবগুলো হচ্ছে প্রোটিন যুক্ত সবজি। 

আমাদের শেষ কথা। এই ছিল আমাদের আজকের প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা নী আর্টিকেল। আশা করছি আজকে আর্টিকেল থেকে আপনারা সঠিক সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে গেছেন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের বিন্দু পরিমানেও উপকারে আসে তাহলে একটা কমেন্ট করে যাবেন। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url