ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য / ভূমিকম্পের সময় করণীয়

 ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য / ভূমিকম্পের সময় করণীয়

হ্যালো এভরিওয়ান, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমাদের আজকের আয়োজনে সবাইকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেল হচ্ছে ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য নিয়ে।মূল বিষয়বস্তুটি জানতে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত যুক্ত থাকুন।

ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য
ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় সময় বাংলাদেশ ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য অনেকের অজানা। ভূমিকম্পের সময়ে অনেকে নিরাপদ আশ্রয় স্থানের জন্য বাহিরে ছুটছেন। তাই চলুন ভূমিকম্প হলে কি করা উচিত। 

কিছুর সাথে মোকাবেলা করার জন্য কিছুই সতর্কবার্তা থাকে। আর আমরা যদি শেষ সতর্কবার্তা গুলো জানি তাহলে আমরা অতি সহজে ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেয়ে যাব। ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য নিচে দেওয়া হল। 

ভূমিকম্পের সময় করণীয় গুলো কি কি?

১) যখনই আপনি অনুভব করতে পারবেন ভূমিকম্প হচ্ছে তাহলে আপনি শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের সময় যদি আপনি ভবনের নিচ তলায় থাকেন, তাহলে অতি দ্রুত আপনি ভবন থেকে বেরিয়ে বাহিরের খোলা জায়গাতে চলে যান।

২) ভূমিকম্পের সময়ে যদি আপনি ভবনের উপর তলায় থাকে তাহলে আপনি কক্ষের ভিতরে নিরাপদে একটি স্থানে আশ্রয় নিন।একবার কম্পান হওয়ার পর আবারোও কম্পন হতে পারে।তাই আপনি ভূমিকম্প চলাকালীন সুযোগ বুঝে মন থেকে বের হয়ে একটি খোলা জায়গায়তে আশ্রয় নিন। 

৩) ভূমিকম্প সময়ে যদি আপনি বিছানায় থাকেন তাহলে আপনার বালিশটি মাথায় গিয়ে ঢেকে নিন।কোন শক্ত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন।যেমন টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত আসবাবপত্র। এটাকে এমন ভাবে ধরে রাখুন যেন মাথার উপর থেকে সরে না যায়। এরপর আপনি চাইলে আশ্রয় নিতে পারেন শক্ত দরজা চৌকাঠের নিচে ও পিলারের আশ্রয় নিতে পারেন। 

৪) ভূমিকম্পের সময়ে আপনি উঁচু বাড়ির জানালা অথবা বারান্দা এবং ছাদ থেকে কখনো লাফ দেবেন না। 

৫) ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির পর ফের ঝাঁকুনি হতে পারে। সুতরাং আপনি যখন বাইরে বেরিয়ে আসবে ভূমিকম্প একেবারে নিরাপদ অবস্থা না আসা পর্যন্ত বাসাতে কখনো প্রবেশ করবেন না। 

৬) আপনি যখন রান্না ঘরে থাকবেন ঠিক সেই মুহূর্তে যদি ভূমিকম্প শুরু হয় তাহলে অতি দ্রুত রান্নাঘর থেকে বাইরে চলে আসেন। ভূমিকম্পের সময়ে আপনার যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনি অতি দ্রুত বাসার বিদ্যুৎ এবং বাসার গ্যাসের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। 

৭) সেই সময়ে যদি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকলে উদ্ধারকারীদের আপনার অবস্থা সম্পর্কে সুনিশ্চিত ভাবে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।

৮) দুর্ঘটনার সময়ে আপনার ভবনে যদি লিফট থাকে তাহলে লেফট ব্যবহার করবেন না। 

৯) যদি কোন বিধ্বস্ত ভবনে যদি আপনি আটকে পড়ে যান এবং উদ্ধারকারী যদি আপনাকে দেখতে না পায় অথবা আপনার কথা শুনতে না পায় তাহলে আপনি বাঁশি বাজিয়ে অথবা হাতুড়ি বা শক্ত কোন জিনিস দিয়ে দেওয়ালে বা ফ্লোরে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকুন। আর আপনি উদ্ধারকারীর মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন। তাহলে এক পর্যায়ে উদ্ধারকারী আপনার সারা শুনতে পারবে এবং আপনাকে খুব সুন্দর করতে পারবে। 

১০) ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ভূমিকম্প চলাকালী সময় দূরে থাকবেন। 

১১) ভূমিকম্প সময়ে আপনি যদি গাড়ির ভিতরে থাকেন তাহলে আপনি ওভার ব্রিজ, গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গিয়ে গাড়ি থামান। যতক্ষণ পর্যন্ত ভূমিকম্প থামছে না ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি গাড়ির ভিতরে বসে থাকুন। 

১২) ভাঙ্গার কোন দেয়ালের নিচে আপনি যদি আটকে পড়ে যায় তাহলে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। কাপড় দিয়ে আপনার মুখটি ঢেকে রাখুন। আর আপনি উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ পাওয়ার চেষ্টা করুন। 

১৩) ব্যাটারি চালিত রেডিও, টর্চ লাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক সরঞ্জামগুলো সবসময় বাড়িতে রাখবেন। 

ভূমিকম্প কি

ভূমিকম্প কি? ভূমিকম্প হল বিশেষ কিছু প্রাকৃতিক কারণে ঘটে যাওয়া ভূমির উপর তীব্র কাঁপন শুরু হওয়া হল ভূমিকম্প।ভূমিকম্প হল ভূমির কম্পন। 

ভূমিকম্প কাকে বলে

পৃথিবীর কঠিন ভূত্বকের কোন কোন জায়গা প্রাকৃতিক কোন কারণে কখনো কখনো খুব অল্প সময়ের জন্য হঠাৎ করে ভূমির কম্পন শুরু হয় বা ভূমির কাঁপতে শুরু করে।আর এই ভূত্বকের এরূপ আকস্মিক কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। 

ভূমিকম্প কেন হয়

ভূমিকম্প কেন হয়?

ভূমিকম্প কেন হয় এটা আমরা অনেকে জানিনা। ভূ-অভ্যন্তরে গ্যাস যখন ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেগিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন ঠিক সেই সময়ে গ্যাসের অবস্থাটি ফাঁকা হয়ে পড়ে আর পৃথিবীর উপরের তলের চাপ ওই ফাঁকা স্থানে দেবে গিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখে।তখনি ভূ-পৃষ্ঠে প্রবল প্রচন্ডভাবে কম্পনের  অনুভূতি হয় ঠিক এরকম কম্পন অথবা ঝাঁকুনি ভূমিকম্প নামে পরিচিত।বিশেষ করে তিনটি কারণে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়ে থাকে সেই তিনটি কারণ হচ্ছে, ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ করে পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার কারণে,অন্যটি হচ্ছে আগ্নেগিরি সংঘটিত হওয়ার কারণে এবং অন্যটি হচ্ছে, শিলাচ্যুতি জনিত কারণে।ঠিক এই তিনটি কারণের জন্য ভূমিতে কম্পন শুরু হয়। 

আমাদের শেষ কথা। এই ছিল আমাদের আজকের ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকার তথ্য নিয়ে আর্টিকেল। আশা করছি ইতিপূর্ব আপনারা সবাই জেনে গেছে কিভাবে ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত থাকবেন অথবা কিভাবে ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url